দেশের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে সদর হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, উপজেলা বা গ্রাম লেভেলে রোগীদের বাছাই করে যদি জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে পাঠানো যায় তাহলে সত্যিকার অর্থে জটিল রোগীরা সেবা পাবেন। ইউনিয়ন লেভেলে যে ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো আছে, সেগুলোতে লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে।এখনও উপজেলা হাসপাতাল বা জেলা হাসপাতালে সমস্যা রয়ে গেছে। চিকিৎসা সেবাটা আসলে সবকিছুর সমন্বয়ে হয়ে থাকে। চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট বা মেশিনারিজের মধ্যে কোনো একটি অংশ কাজ না করলে পুরো চিকিৎসা সেবাটা দেওয়া সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, চমেক হাসপাতাল ২২শ বেডের। কিন্তু রোগী থাকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। ধারণক্ষমতার বাইরে রোগী থাকায় নানান অভিযোগ আছে। এখানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির যেসব আউটসোর্সিং কর্মী নেওয়া হয়, গত তিন-চারমাস যাবত তাদের বেতন নেই। তারা যেসব রোগীর কাজ করছেন তাদের কাছ থেকে কিছু পয়সা নেন। তবে আমরা বলছি, এভাবে তাদের বেতনভাতা বন্ধ হওয়া উচিত হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্স-টেকনোলজিস্টের অভাব রয়েছে। এসব সমস্যা একদিনে সমাধান সম্ভব নয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে। সেখানেও প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসক নেই। উপজেলা-সদর-জেলা হাসপাতালগুলোতেও বেশ কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। যে কারণে পরিপূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। চমেক হাসপাতাল ছাড়াও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।